ইসরায়েলকে হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার তেহরানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাণঘাতী হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরান ছাড়াও নাতাঞ্জ শহরে এসব হামলা চালানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, ‘জায়নবাদী এ হামলার জবাব অবশ্যই ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দেবে।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এদিকে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘ইসরায়েলের হামলার জবাব হবে কঠোর ও ফলাফল নির্ণায়ক।’
হামলা কি অত্যাসন্ন—জানতে চাইলে একই সূত্র বলেছে, ইরানের প্রতিশোধ কেমন হবে, তার বিস্তারিত নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর, রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (বিপ্লবী গার্ড) সদর দপ্তরেও হামলা হয়েছে।
হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ছাড়াও ২৫ বছর ধরে দেশটির পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে থাকা ফারেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তেহরান থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তাঁর দেশ। ইরানের যেসব বিজ্ঞানী দেশটির জন্য (পারমাণবিক) বোমা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন, তত দিন এমন হামলা চলবে।’
বিআলো/শিলি