নিখোঁজ মডেলের মরদেহ উদ্ধার, গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
বিনোদন ডেক্স: শুটিংয়ের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর হরিয়ানার সোনিপাতে একটি খাল থেকে মডেল শীতলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শীতল, যার প্রকৃত নাম সিমি চৌধুরী, হরিয়ানার পানিপথ জেলার খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করতেন। এক সময় কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন, সেখানেই তার পরিচয় হয় অভিযুক্ত সুনীলের সঙ্গে।
১৪ জুন শীতল শুটিংয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। এর দু’দিন পর, রবিবার (১৬ জুন) তার মরদেহ উদ্ধার হয় সোনিপাতের একটি খাল থেকে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শীতলের বড় বোন নেহা দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাবেক বন্ধু সুনীল জড়িত। তার ভাষ্য অনুযায়ী, শুটিংয়ের দিন শীতল তাকে ফোনে জানিয়েছিলেন, সুনীল শুটিং ফ্লোরে এসে তাকে মারধর ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেন।
নেহা আরও বলেন, “সুনীল আমার বোনকে জোর করে বেড়াতে যেতে বলছিল। রাজি না হওয়ায় সে আগ্রাসী হয়ে ওঠে। পরে জানা যায়, সুনীল বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। বিষয়টি জানার পর থেকেই শীতল তাকে এড়িয়ে চলছিল। সম্ভবত এ কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে।”
নেহা আরও দাবি করেন, রবিবার রাতে দিল্লিতে একটি খালে সুনীলের গাড়ি পড়ে যায়। সেখান থেকে সুনীলকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও শীতলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিনই শীতলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোটিভ ও সম্ভাব্য অপরাধীর সম্পৃক্ততা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
উল্লেখ্য, শীতলের পরিবার হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি সুনীলকে দায়ী করলেও, পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে অভিযুক্ত করেনি।
বিআলো/সবুজ