পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে ইরান-ইসরাইল প্রসঙ্গ
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পাশাপাশি গত মাসের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে মধ্যস্থতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
ইরান ও ইসরাইল সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে বৈঠকের দাওয়াত দেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্র আগেই জানায়, ইরান ও ইসরাইল চলমান সংঘাতে পাকিস্তান যেন কোনোভাবেই জড়িয়ে না পড়ে- সেই বার্তা দিতেই পাক সেনাপ্রধানকে বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত।
সময়সূচি অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। এরপর বৈঠকে করেন তারা। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, আসিম মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত এবং তারা ইরান ও ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই ঘণ্টা বৈঠকে ইরান প্রসঙ্গ প্রাধান্য পায় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এ সময় সেনাপ্রধান মুনির আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরাইলের যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে।
পাকিস্তান ইরানে ইসরাইলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
রয়টার্স বলেছে, পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনো পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
তবে তাদের এ বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক বিরোধ ও মধ্যস্ততাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তিনি পাক সেনাপ্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেন, ‘যে কারণে আজ আমি এখানে, সেটা হলো আমি তাকে (মুনির) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তিনি যুদ্ধে না গিয়ে তা থামিয়েছিলেন।’
ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দুইজন বুদ্ধিমান মানুষ যুদ্ধে আর না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর।’ ‘দুজন বুদ্ধিমান মানুষ’ বলতে ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে বুঝিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকে ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয়ে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যা। আলোচনা হয়েছে। তারা (পাকিস্তান) ইরানকে অন্য অনেকের থেকে ভাল চেনে। তারা (পাকিস্তান) কোনো কিছু নিয়েই খুশি নয়। ইসরাইলকে পছন্দ করে না। তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।’
বিআলো/শিলি