মহানবীকে কটুক্তির ঘটনায় দেওয়া বক্তব্যে সমালোচনায় ওসি
সজীব আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর থানার ভাইরাল ওসি মোহাম্মদ নূরনবী বক্তব্যে ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়েছেন। তবে তিনি এবার ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় প্রশংসা নয়, সমালোচনার মূখে পড়েছেন।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর থানায় কর্তব্যরত ওসি মোহাম্মদ নূরনবী বিভিন্ন সময় রসালো ও তার কর্মকান্ড বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন। ভাইরাল হতে তিনি বেশ সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বর্তমানে তিনি ভাইরাল ওসি নামে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। রোববার থানা প্রাঙ্গনে অতি উৎসাহী এক ভিডিও বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় তুলে নেট দুনিয়ায় ফের ভাইরাল হয়েছে।
রোববার (২২জুন) মহানবীকে (সাঃ) কটুক্তির অভিযোগ এনে স্বনাতন ধর্মালম্বী পিতা পুত্র দরিদ্র দুই নরসুন্দরকে মারধর করে পুলিশ সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনারদিন তাদের বিচারের দাবীতে থানা ঘেরাও করে মুসলিম জনতা।
এসময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাইরাল ওসি মোহাম্মদ নূরনবী অতি উৎসাহীভাবে বলেন, ” ওসি হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আমার। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমারও কলিজায় আগুন লেগেছে। আপনাদের মতো চোখে পানি আমারও এসেছে। কীভাবে এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এ দেশে করে। আমি আপনাদের ওয়াদা দিলাম। আমি তাদের যখন অ্যারেস্ট করেছি। বাংলাদেশে এমন মামলা তাদের দেব, নিশ্চিত তাদের যেন যাবজ্জীবন বা ফাঁসি হয়”।
ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়েরের আগেই ওসির এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়।
বিশ্বজিৎ রায় বিজয় নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করেন, আপনি (ওসি) গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য আপনি দিতে পারেন না। এটি আপনার পেশাগত দায়িত্ব, জ্ঞানহীনতার পরিচয় বহন করে। এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যই আমি এমন কথা বলেছি। অন্য কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সদর থানার ওসির বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিআলো/শিলি