বরিশালে জব্দকৃত ইলিশ বিতরণ নিয়ে বিতর্ক, প্রশ্ন উঠেছে স্বচ্ছতা নিয়ে
বরিশাল ব্যুরো : বরিশালে কোস্টগার্ডের অভিযানে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ বিতরণ ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। বিতরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুপস্থিতি এবং মিডিয়াকে পাশ কাটিয়ে রাতের আঁধারে বিতরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বরিশালের দপদপিয়া টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ২ হাজার ৪০০ কেজি অবৈধ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এমন জব্দকৃত মাছ বিতরণে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কেবলমাত্র তাঁর অফিস সহকারী “হাসান”। বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় কোস্টগার্ড ক্যাম্পের ভেতরে, যা তালাবদ্ধ ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। অনেক মাদরাসা শিক্ষক-ছাত্র ও দুঃস্থ ব্যক্তি পরিচয়পত্র দেখিয়েও বিতরণস্থলে প্রবেশ করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “রাতের বেলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাছের পানি রাস্তায় গড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। এতে করে বিতরণের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।”
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা কোস্টগার্ড বরিশাল স্টেশনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, “রাত গভীর হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।” তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি দায়িত্বশীল ব্যাখ্যা দিলেও বিতরণ পদ্ধতি ঘিরে জনগণের অভিযোগ অস্বীকার করেননি। অফিস সহকারী হাসান বলেন, “বিতরণে তেমন কোনো ঝামেলা হয়নি।” তবে অ্যাম্বুলেন্সে মাছ রাখার বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
স্থানীয়রা এই বিতরণকে ঘিরে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন— এত বিপুল পরিমাণ মাছ আদৌ কি প্রকৃত দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ হয়েছে, নাকি বিতরণের নামে গন্তব্য বদলেছে অন্য কোথাও? এমন প্রশ্ন জনমনে।
বিআলো/সবুজ