বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পাঁচ উপজেলায় তরী’র সচেতনতামূলক কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন তরী বাংলাদেশ দেশের পাঁচটি উপজেলায় আয়োজন করেছে বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, র্যালি ও আলোচনা সভা। এসব কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং তরুণ প্রজন্মের পরিবেশ-সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।
সাভার (ঢাকা): তরী বাংলাদেশের সাভার উপজেলা শাখার উদ্যোগে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): সরাইল উপজেলার ধরন্তী বিলে অনুষ্ঠিত হয় পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন। সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক মো. মাহবুব খান বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো. শাহাগীর মৃধা।
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে তরী বাংলাদেশ কসবা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল খায়ের স্বপন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সাইদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম।
বিজয়নগর: বিজয়নগর উপজেলায় র্যালি, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে তরী বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসাইন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
নাসিরনগর: নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব নিশাত সুলতানা।
তরী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, “পলিথিন একটি অপচনশীল পদার্থ যা মাটি ও পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে। এটি জলাবদ্ধতা, নদীর নাব্যতা হ্রাস এবং জীববৈচিত্র্য বিনষ্টের অন্যতম কারণ। ২০০২ সালের সংশোধিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের মাধ্যমে পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত না করা গেলে পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টা কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তরী বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে—পরিবেশ রক্ষায় জনগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসবে। তাহলেই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন হবে সত্যিকার অর্থে সফল।”
বিআলো/সবুজ