বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫: এখনই সময় সচেতন হওয়ার
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। কিন্তু এবার ঈদের ছুটি থাকায় এটি ২৫ জুন পালিত হলো। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশে এর প্রভাব ছিল অনেক বেশি বাস্তবভিত্তিক এবং আবেগঘন। সারা দেশের পরিবেশপ্রেমীরা যেন এক কণ্ঠে গর্জে উঠেছে: “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়!” এই স্লোগান শুধু কথার কথা নয়, বরং সময়ের দাবিতে এক বাস্তব আহ্বান। বর্তমানে বাংলাদেশ যে পরিবেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা অবহেলার পর্যায়ে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারবো না একটি বাসযোগ্য দেশ।
পরিবেশ সংকট ও নাগরিক ভূমিকা: আজকের বাস্তবতায়, কেবল সরকারি উদ্যোগ নয়, নাগরিক সচেতনতাও অত্যন্ত জরুরি। একজন পরিবেশ সৈনিক হিসেবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রথম কাজ হওয়া উচিত নিজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।
নিজে সচেতন হলে পরিবার, সমাজ, গ্রাম ও শহর এমনকি পুরো জাতিই ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে উঠবে।
অনেক উন্নত দেশও আমাদের মতোই এক সময় চরম দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। কিন্তু কঠোর আইন, জনসচেতনতা এবং পরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে তারা আজ পরিচিত হয়েছে “পরিবেশবান্ধব দেশ” হিসেবে।
আমাদেরও সেই একই পথেই চলতে হবে।
রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ও ঐক্য: গর্বের বিষয় হলো, বাংলাদেশে এখন একজন দক্ষ পরিবেশ উপদেষ্টা রয়েছেন সৈয়দা রেজওয়ান আহসান। তিনি শুধু দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন না, বরং প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও পরিবেশপ্রেমিকদের একত্রিত করে জাতিকে সচেতন করার কাজ করছেন।
আজ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। রাজনীতি, মতভেদ বা দোষারোপের সময় এখন নয়। সময় এসেছে দলমত নির্বিশেষে হাতে হাত রেখে কাজ করার। নইলে আমরা এমন এক গভীর খাদে পড়ে যাব, যেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর কোনো পথ থাকবে না।
আমাদের আহ্বান স্পষ্ট নিজে সচেতন হই, পরিবেশবান্ধব হই, তারপর অন্যকে সচেতন করি। এ এক নিঃশব্দ বিপ্লব, যেখানে প্রত্যেকেই সৈনিক, প্রত্যেকেই নেতা। আর এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া মানেই একটি সুস্থ, সবুজ, নিরাপদ বাংলাদেশ।
লেখক : ফজলে সানি, পরিবেশ সৈনিক।
বিআলো/সবুজ