রাঙামাটিতে পার্বত্য উপদেষ্টার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, ৪ দফা জানালো পিসিসিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)। সোমবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের বনরূপা পুলিশ বক্সের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এর আগে কাঠালতলী এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মানববন্ধনে এসে মিলিত হয়। কর্মসূচি থেকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপদেষ্টার অপসারণ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৩ জুন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০’ সংশোধন সংক্রান্ত আলোচনায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারের পক্ষে মন্তব্য করেন, যা সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য হুমকি।
বক্তারা অভিযোগ করেন, একজন দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তির এমন মন্তব্য পার্বত্য অঞ্চলে জাতিগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিভাজনের রাজনীতিকে উৎসাহিত করে।
সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন। বক্তারা বলেন, “আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ চাই। অন্যথায় ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
এ সময় পিসিসিপির পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়: সংবিধানবিরোধী ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার ও প্রচার বন্ধে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা; রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার সংরক্ষণ সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে; পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি ও অন্যান্যদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা।
পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. সোলায়মান, ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বরকল উপজেলা সভাপতি তসলিম উদ্দিনসহ অনেকে।
বিআলো/সবুজ