বন্দরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার
মো. মনির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ: শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “জুলাই আমাদের গর্বের মাস। ছাত্ররা সেই শোষণমূলক ব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই মাসে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে অনুষ্ঠান করে শহীদদের স্মরণ করা উচিত এবং আহতদের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সবার দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্র সাধ্যমতো পালন করছে, তবে অন্যদেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সম্ভাবনা আমাদের হাতছানি দিচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো সরকারের একটি বড় প্রয়াস। আমাদের হাতে সময় কম। কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং সময় শেষ হওয়ার আগেই কিছু কিছু কাজ সম্পন্ন করা হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দেবে কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীরা।”
গত সোমবার (৭ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার গকুলদাসের বাগ এলাকার জামেয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ জামালউদ্দিন মিঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা রহিমা আক্তার ইতি, ড. আফজাল হোসেন এবং শিক্ষক মার্জিয়া খাতুন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কাইয়ুম, ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের আগে শিক্ষা উপদেষ্টা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন, দুই হাফেজ ছাত্রকে পাগড়ি পরিয়ে দেন, আলহাজ্ব আমিজউদ্দিন রোটারি এতিমখানার মৎস্য প্রকল্পে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। তিনি মদনপুর নাজিমউদ্দীন ভূইয়া কলেজও পরিদর্শন করেন এবং দুস্থ অভিভাবকদের মধ্যে বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।
বিআলো/তুরাগ