তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্ট সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের ১৩৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ পাঠ আজ প্রকাশ করেছে। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই রায় দেন। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠ প্রকাশিত হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শুনানি শেষে আদালত ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বৈধতা নিয়ে দেওয়া রায় ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, “হাইকোর্ট সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এখন থেকে এটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আবার সংবিধানের অংশ।”
রিট আবেদনকারী সংগঠন সুজন-এর পক্ষে ছিলেন ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে ছিলেন জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ইনসানিয়াত বিপ্লব পার্টির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রউফ ও ইশরাত হাসান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশরাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরশাদ উদ্দিন
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পেশ করা হয় ১৫তম সংশোধনী এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
এ বছরের আগস্ট মাসে সুজনের মহাসচিব বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে দেশের পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক ১৫তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
শুনানির পর আদালত রুল জারি করে জানতে চায়, কেন ১৫তম সংশোধনীকে সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করা হবে না।
১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে: নারী সংসদ সদস্যদের সংরক্ষিত আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, অসংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে সর্বোচ্চ শাস্তি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার বিধান যুক্ত করা হয়।
বিআলো/এফএইচএস