হাওরে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণে সুরক্ষা আদেশ চূড়ান্তের পথে: রিজওয়ানা হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক: পানি আইন ২০১৩-এর আওতায় হাওরে পর্যটন (ট্যুরিজম) নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই একটি সুরক্ষা আদেশ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘হাওরের সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমরা একটি সুরক্ষা আদেশের খসড়া তৈরি করেছি, যেখানে স্পষ্ট করে বলা থাকবে—পর্যটকরা কী করতে পারবেন আর কী পারবেন না। হাউজবোট কোথায় চলবে, কী নিয়ম মেনে চলবে, সবই সেখানে উল্লেখ থাকবে।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, প্রাকৃতিক নিসর্গ উপভোগের জন্যই ট্যুরিজম। সেই প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে হাওরের পর্যটনকে আনতে হবে।
তিনি নিজেকে হাওরের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, “হাওর হলো মিঠা পানির সমুদ্র। এর অনন্য জীববৈচিত্র্য ও উৎপাদন ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হলে পরিকল্পিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
উপদেষ্টা জানান, হাওর মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদকরণে স্থানীয় মানুষের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সেটি শিগগিরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
হাওরের সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়ে তিনি বলেন, হাওরগুলোর বেশিরভাগ অংশে ল্যান্ড রেকর্ড নেই। তাই মালিকানা জটিলতা রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে হাওর সীমানা নির্ধারণে কাজ শুরু করেছি।
এছাড়া প্রাথমিকভাবে ৫টি হাওরে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান তিনি। ভাসমান হাসপাতাল বিষয়ে তিনি বলেন, হাওরে চিকিৎসা সেবা পৌঁছাতে ভাসমান হাসপাতালের পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র সভাপতি রফিক মুহাম্মদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হাবীবুর রহমান, আরটিভির বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, গ্রিন কনসার্ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তাহমিনা খানম, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ প্রমুখ।
সেমিনারে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মুহম্মদ মোফাজ্জল। সঞ্চালনায় ছিলেন নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী খান।
বিআলো/এফএইচএস