আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সেমিনার
পঁচিশ ক্যাডারের সুপারিশ উপেক্ষা করে জনপ্রশাসন সংস্কার হবে না : বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর উদ্যোগে ‘‘জনপ্রশাসন সংস্কার : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’’ শীর্ষক সেমিনার শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ ছিল, তা উপেক্ষা করে জনপ্রশাসন সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না। কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে এবং জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের পথে অন্তরায় হবে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২৬টি কমিশন গঠিত হলেও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি। এবারও পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন গঠন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পরিসংখ্যান, ডাক, অডিট ও একাউন্টস ক্যাডার নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পরিষদ বিলুপ্তি ও জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
পরিষদের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (‘‘যার ক্যাডার, তার মন্ত্রণালয়’’) বাস্তবায়ন, উপসচিব পদে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ, সকল ক্যাডারের সমতা নিশ্চিত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে একই কমিশনের আওতায় রাখা, পরিবার পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান ক্যাডার বহাল রাখা, প্রশাসন ক্যাডারের জন্য পূর্বের সার্ভিসে ফেরার সুবিধা বাতিলসহ নানা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সভায় আরও বলা হয়, বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কারণে পেশাগত দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও জনসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ২৫টি ক্যাডারের শীর্ষ পদে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তা নেই। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎসাহ হারাচ্ছেন এবং জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ও সেমিনার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক মো. জামিলুর রহমান।
বিআলো/তুরাগ