কাহ্নপা সাহিত্য পদক পাচ্ছেন কবি মজিদ মাহমুদ ও অনুবাদক খসরু চৌধুরী
এ.বি.এস রতন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ প্রবর্তিত ‘কাহ্নপা সাহিত্য পদক ২০২৫’ পাচ্ছেন বিশিষ্ট কবি মজিদ মাহমুদ ও প্রথিতযশা অনুবাদক খসরু চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তির মোড়ের পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অরিন্দম মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
পদক প্রদান করা হবে আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী লেখক সম্মেলনে। দেশের বরেণ্য শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে মনোনীতদের হাতে পদক, অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয় তুলে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কবি মজিদ মাহমুদ বাংলা সাহিত্যে একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক হিসেবে পরিচিত। তার জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মাহফুজামঙ্গল’ ও ‘আপেল কাহিনী’। ইতোমধ্যে তার ২০টি কাব্যগ্রন্থ, ২০টি প্রবন্ধগ্রন্থসহ ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাব পুরস্কারসহ তিনি ২০টির অধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
অন্যদিকে, খসরু চৌধুরী একজন নিভৃতচারী অনুবাদক, হরর গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবি। তিনি বিশ্বখ্যাত সাহিত্যের ২০১টি গ্রন্থ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন, যা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়ক পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। অনুবাদ সাহিত্যে তার অবদান বাংলা সাহিত্যকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কায়েস উদ্দীন, কথাসাহিত্যিক রবিউল করিম, নওগাঁ সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মনোয়ার লিটন এবং কবি মাহফুজ ফারুক।
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন জানান, চর্যাপদের অন্যতম কবি কাহ্নপা যিনি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে বসে চর্যাপদ রচনা করেছিলেন, তার নামেই এই পদক প্রবর্তিত। তিনি বলেন, গত বছর আমরা কবিতায় আমিনুল ইসলাম এবং ছোটকাগজ সম্পাদনায় মিজানুর রহমান বেলালকে এই পদক প্রদান করেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও দুইজন গুণী সাহিত্যিককে সম্মানিত করছি।
সভাপতি অরিন্দম মাহমুদ বলেন, বাংলা সাহিত্যে নওগাঁ তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের অবদান দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে কাহ্নপা সাহিত্য পদক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী দিনগুলোতেও এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
বিআলো/এফএইচএস