• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ঝুঁকিপূর্ণ ১৬ বীমা কোম্পানির নাম গোপন রাখার রহস্য কী? 

     dailybangla 
    08th Jul 2025 11:56 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    রতন বালো: দেশের বীমা খাত নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম জানিয়েছেন, দেশে ৩২টি বীমা কোম্পানি ঝুঁকিতে আছে এবং এর মধ্যে ১৬টি কোম্পানিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কিন্তু তিনি ওই ১৬ বীমা কোম্পানির নাম প্রকাশে সম্পূর্ণ নীরব থেকেছেন। এ নিয়ে খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন দেখা দিয়েছে—কেন এই গোপনীয়তা?

    আইডিআরএর পরামর্শক (মিডিয়া ও যোগাযোগ) সাইফুন্নাহার সুমি বলেছেন, “ইন্ডাস্ট্রির ভালো-মন্দ মিলিয়েই আছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চেয়ারম্যান কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি।” তিনি আরও জানান, তার কাছেও ওই ১৬ কোম্পানির নির্দিষ্ট তালিকা নেই।

    তবে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, যেসব কোম্পানিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকাইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্সসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব কোম্পানির সুশাসন, দাবি নিষ্পত্তি এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় সমস্যা আছে। তিনি বলেন, “অনেক বীমা কোম্পানি সময়মতো পলিসিহোল্ডারদের দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এই খাত চরম অবিশ্বাসের মুখোমুখি।”

    তথাপি নাম গোপন রাখা নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, এটি স্বচ্ছতার অভাবের পরিচায়ক। সাধারণ গ্রাহক, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকেরা প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানি চেনার সুযোগ হারাচ্ছেন। আবার অন্যপক্ষের যুক্তি হলো, প্রকাশ্যে নাম বলে দিলে একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়ে পুরো বীমা খাতেই আস্থা সংকট দেখা দিতে পারে।

    আইডিআরএ সূত্র জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলাদা নিরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    এদিকে সরকার ‘বীমা সমাধান অধ্যাদেশ ২০২৫’ চূড়ান্ত করছে, যা সমস্যাগ্রস্ত বীমা কোম্পানির পুনর্গঠন, একীভূতকরণ বা দেউলিয়া ঘোষণা করার আইনগত ভিত্তি দেবে। এতে বীমা গ্রাহকের স্বার্থরক্ষায় দাবি নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা, পরিচালকের সম্পদ জব্দের মতো কঠোর ব্যবস্থার কথাও আছে।

    বীমা খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, নাম প্রকাশ না করা হয়তো সাময়িকভাবে খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার কৌশল, কিন্তু এতে সাধারণ গ্রাহকের আস্থা ফেরানো কঠিন হবে। চেয়ারম্যানের নীরবতায় রহস্য ঘনীভূত হওয়ায় বীমা খাতের শৃঙ্খলা ফেরানো আরও জটিল হয়ে পড়ছে।

    বিআলো/তুরাগ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930