১৫ জুলাই গণপ্রতিরোধ দিবস: স্মৃতিচারণে ফাতিমা তাসনিম
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের এই দিন, ১৫ জুলাই ২০২৪–ভবিষ্যতের কথা ভাবিনি, শুধু একটাই চিন্তা মাথায় ছিল: আমি একজন সচেতন নাগরিক, আমার দেশ যখন বিপদে তখন পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এভাবেই স্মৃতি রোমন্থন করেন বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম, যিনি গত বছরের বর্বর হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ও ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখিনি, কিন্তু ২০২৪ সালে রাষ্ট্রীয় বর্বরতার নির্মাণ দেখেছি নিজের চোখে। আমি বাঙালি হয়ে বাঙালির সঙ্গে লড়েছি। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক ভয়াল ও রক্তাক্ত দিন। সেদিন হাসিনা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায় নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর। মেয়েদের ওপর চালানো হয় অকল্পনীয় পাশবিক নির্যাতন।
তিনি আরও বলেন, সেদিন ঢাকা মেডিকেলে আহতদের নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চলে। হাসপাতালের বেডের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছিল, গুলি চলেছে, রুমে রুমে ঢুকে হেনস্তা করেছে। কেচিগেটে তালা মেরে গভীর রাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ রাখা হয়েছিল আমাদের। জীবনের মায়া ত্যাগ করেই আমরা রাজপথে লড়েছি।
ফাতিমা তাসনিম অভিযোগ করেন, আজকের দিনে যখন সেই আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে অনেকে কৃতিত্ব নিতে আসেন, তখন আমরা দেখি সেদিন তারা কোথাও ছিলেন না। বরং জুলাইয়ের শহীদ ও যোদ্ধাদের অবদান অস্বীকার করে একটি ‘সনদ বাণিজ্য’ শুরু হয়েছে। একেই মুক্তিযোদ্ধার নাম বিক্রির ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বলা যায়।
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্ম, আমরা রাজপথে ন্যায়ের জন্য লড়ি। আমরা হার মানতে আসিনি। আমাদের লক্ষ্য একটি নির্মল, ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ– সেটি গড়তে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবো।