পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে সোমবার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় কেক কেটে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি।
আলোচনায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরের মধ্যেই ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুর্গম এলাকায় স্কুল, কলেজ ও হোস্টেল স্থাপনে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বাজেটের যথাসময়ে সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকারের অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ ফেরত দেওয়া উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। তিনি পার্বত্য এলাকায় Affirmative Action এবং মূল স্রোতের সঙ্গে দ্রুত একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার ওপর জোর দেন।
সভায় সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রম পরিকল্পনার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতা জানা জরুরি। বাজেটের যৌক্তিক বণ্টন এবং অপচয় রোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি মন্ত্রণালয়ের নাম ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা নেয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা।
আলোচনা সভা প্রাণবন্ত মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, যেখানে বক্তারা মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড আরও জনবান্ধব ও সম্প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিআলো/তুরাগ