হাতের সোনার চুড়ি জব্দ: কাস্টমসের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে বিমান ক্রু হোসনে আরা
ব্যবহৃত চুড়ি জব্দে ক্ষোভ: কাস্টমসকে আইনি নোটিশ দিতে যাচ্ছেন ফ্লাইট পার্সার
নিজস্ব প্রতিবেদক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পার্সার হোসনে আরা। গত ১৩ মে রিয়াদ থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে তার হাতের ব্যবহৃত তিনটি সোনার চুড়ি জব্দ করে কাস্টমস। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হোসনে আরা জানিয়েছেন, তিনি কাস্টমসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হোসনে আরা বলেন, “আমার ব্যবহৃত পুরনো সোনার চুড়িকে অবৈধভাবে জব্দ দেখিয়ে আমাকে চরম মানসিক বিপাকে ফেলে কাস্টমস। এটা ব্যক্তিগত গহনা, প্রতিদিনকার ব্যবহার্য জিনিস। ফ্লাইটে যাওয়ার সময় ভুলে হাতেই পরে ছিলাম।”
ঘটনার পর বিমান কর্তৃপক্ষ হোসনে আরাকে সাময়িকভাবে গ্রাউন্ডেড করে তদন্ত শুরু করেছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার প্রাথমিক জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবার লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার তিনি চূড়ান্ত লিখিত জবাব দেবেন বলে জানা গেছে।
হোসনে আরা লিখিত জবাবে উল্লেখ করেছেন, “ফ্লাইট শেষে আমি সোজা কাস্টমস হল থেকে বাইরে যাই এবং সহকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। তখন একজন কাস্টমস কর্মকর্তা এসে আমার হাত থেকে চুড়িগুলো খুলে নেয় এবং জব্দ দেখায়। আমি বারবার বলেছি এগুলো আমার ব্যক্তিগত ব্যবহারের, কিন্তু কোনো পাত্তা দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “কাস্টমস যেভাবে আমার চুড়ি জব্দ করেছে, তা আইনগতভাবে যথাযথ নয়। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, বিমান যদি সঠিক তদন্ত করে, তাহলে ন্যায়বিচার পাব।”
প্রসঙ্গত, ১৩ মে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে ঢাকায় ফেরেন হোসনে আরা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তার হাতে থাকা তিনটি সোনার চুড়ি জব্দ করে। হোসনে আরা এগুলো ব্যক্তিগত বলে দাবি করলেও যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কাস্টমস তা জব্দ করে এবং একটি নোটিশ ইস্যু করে।
তবে, এ ধরনের ঘটনায় একদিকে যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ যেমন উঠে আসে, তেমনি কাস্টমসের পক্ষ থেকেও থাকে চোরাচালান রোধের দায়িত্ব পালনের চাপ। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কোন পক্ষকেই দায়ী বা নির্দোষ বলা কঠিন। বিষয়টির পরিণতি নির্ভর করবে প্রমাণ ও তদন্তের ওপর।
বিআলো/তুরাগ