ভোর থেকে গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল, নতুন সিদ্ধান্ত রাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষের পর জারি হওয়া কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ফলে প্রায় ৫৫ ঘণ্টা পর অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জেলার পরিস্থিতি। লোকসমাগম বেড়েছে রাস্তাঘাট ও বাজারে।
শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর ৬টার পর থেকে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে বলে জানানো হয় গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষুদে বার্তায়। রাত ৮টার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আশার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমাগমও বাড়ছে। সেইসঙ্গে কিছুটা বেড়েছে যানবাহনের চাপও। ধীরে ধীরে খলতে শুরু করেছে দোকানপাট। অনেকে কর্মস্থলে যাচ্ছেন, আবার অনেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজার কিংবা দোকানে আসছেন। কাঁচা বাজার, ফল বাজার বেচাকেনা রয়েছে আগের মতোই। তবে এখনো বেশিরভাগ মানুষের মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেছে।
এদিকে শুক্রবার রাতেও যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে কতজন আটক হয়েছেন সেটা জানা যায়নি।
গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশ ও গাড়িবহরে হামলা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে পরিস্থিতি অবনতির কারণে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রথম দফায় কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বলবৎ থাকার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল ছিল। পরে সন্ধ্যায় কারফিউর মেয়াদ বাড়িয়ে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত কার্যকর রাখা হয়।
সবশেষ রাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, আজ সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিআলো/শিলি