অশ্রুজলে দগ্ধ হওয়া উক্য চিং মারমার দাহ সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উক্য চিং মারমার (১৩) দাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পারিবারিক শ্মশানে। দীর্ঘদিন সংগ্রামের পর বুধবার বিকেলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
দাহক্রিয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন উক্য চিংয়ের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও এলাকার মানুষজন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস, পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
গত সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে শতভাগ দগ্ধ হন উক্য চিং মারমা। তাকে দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলেও, ওইদিন গভীর রাত ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিশোর।
উক্য চিংয়ের বাবা, রাজস্থলী উপজেলার আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক উসাইমং মারমা বলেন, আমার ভাষা নেই। একমাত্র সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম, ছেলে বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে-তার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
মা তেজিপ্রু মারমা, বান্দরবান রুমা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সব শেষ। কী নিয়ে বাঁচব আমি? আমার ছেলে আর কখনো ফিরে আসবে না।
নানাভাবে লালন-পালন করা দাদি ক্রাপ্রু মারমা বললেন, নাতিকে ছোটবেলা থেকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি, এমন নৃশংস মৃত্যু কখনো ভাবিনি।
মৃত্যুর আগে উক্য চিংয়ের বন্ধু ও স্বজনরা কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো স্মরণ করেন।
বিআলো/এফএইচএস