কসবায় প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত, ১৭টি অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলামকে নৈতিক স্থলন, অর্থনৈতিক অনিয়মসহ ১৭টি অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গত ১৮ জুলাই বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পরিচালনা কমিটির সভায় শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ৫১(১) ধারায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্থাপিত ১৭টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—অদক্ষতা, পেশাগত অসদাচরণ, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়।
তাকে কারণ দর্শানোর জন্য ১০ কর্মদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করে নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি সময়মতো কোনো লিখিত জবাব দেননি বলে দাবি পরিচালনা কমিটির।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম ও অনৈতিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিধিমালার আওতায় পরিচালনা কমিটি সর্বসম্মতভাবে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলাম অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “১৫ বছরের হিসাব ১০ কর্মদিবসে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই আমি সময় চেয়েছি। বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা রক্ষায় কাজ করায় একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি অভিযোগের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে বিধিমালানুযায়ী বরখাস্তের পূর্বেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তারা আগে বরখাস্ত করে পরে কমিটি গঠন করেছে, যা বিধিসম্মত নয়।
বিআলো/এফএইচএস