গুলশানে চাঁদা দাবির ঘটনায় ছাত্র সংগঠনের ৪ নেতার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চার ছাত্রনেতার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন। বিকেলে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গ্রেফতার চারজনের মধ্যে তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা এবং একজন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর বহিষ্কৃত নেতা। তারা হলেন, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না (আহ্বায়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর), মো. সাকাদাউন সিয়াম (সদস্য), সাদাব (সদস্য), এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (কেন্দ্রীয় সদস্য, বাগছাস)।
গ্রেফতারের পর শনিবার রাতেই সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই (শনিবার) রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে চাঁদা নিতে গিয়ে ওই চারজনকে আটক করে পুলিশ। ওই বাড়িটি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের। ঘটনার সময় তিনি বাসায় না থাকলেও তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে কিছুদিন আগে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবি করে। ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক হুমকি দেখিয়ে তারা ১৭ জুলাই ১০ লাখ টাকা আদায়ও করে বলে অভিযোগ। এরপর ১৯ জুলাই বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য আবার চাপ দেয়।
শনিবার রাতে তারা পুনরায় স্বর্ণালঙ্কার আনতে গেলে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করে। তাদের এক সহযোগী কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বড় অঙ্কের অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে আওয়ামী লীগের শত্রু ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেওয়া হয়।
গুলশান থানার ওসি জানিয়েছেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত চাঁদাবাজির ঘটনা। তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস