ফরিদপুরে অভিমানে শাশুড়ির আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা
স্ত্রীর ষড়যন্ত্রে শাশুড়ির মৃত্যুর অভিযোগ, পাল্টা দাবি স্ত্রীর
সেতু আক্তার, ফরিদপুর: ফরিদপুরে স্বামীকে রেখে পরপুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অপরাধে স্ত্রীকে ডির্ভোস দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নানা রকম ষড়যন্ত্র করে স্বামী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিসহ সম্মানহানি করার ফলে অভিমানে শাশুড়ি হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত শাশুড়ী বিজলী রানী সাহা ফরিদপুর সদর উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গোবিন্দ সাহার স্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের ছেলে গৌতম সাহা জানান, আমার ডির্ভোসী স্ত্রী যুথী সাহা আমাকে ভুয়া পুলিশ দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে আমার মা ভয়ে অভিমানে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে গৌতম সাহা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ওই ডির্ভোসী স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ১৭ বছর পূর্বে ঢাকা দোহার থানার মেঘলা গ্রামের বিশ্বজিৎ সাহার মেয়ে যুথী রানী সাহা (৩৭) এর সঙ্গে গৌতম সাহার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার জীবন চলাকালীন অবস্থায় তাদের ঔরসে ২টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এ অবস্থায় গৌতমের নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে স্ত্রী যুথী রানী সাহার পরকীয়া প্রেমসহ অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য যুথী রানী গ্রাম ছেড়ে ফরিদপুর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। যার ফলে এ বিষয়ে স্বামী গৌতম অবগত ছিলোনা।
এরপর একদিন হাতেনাতে ধরা পড়ার পর স্ত্রী যুথী রানী পুরো ঘটনা স্বীকার করে। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয় এবং যুথী রানী বিভিন্নভাবে সংসারের জিনিসপত্র আত্মসাৎ করতে থাকে। একপর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তখন সন্তানদের দিকে তাকিয়ে গৌতম স্ত্রীকে ক্ষমা করে দেন। এর কিছু দিন পর মার্চ মাসের ১০ তারিখে দুপুরে বাড়ির সবার অনুপস্থিতিতে যুথী রানীর ভাই ও ভাইয়ের বউকে বাড়িতে ডেকে এনে বাড়ির মূল্যবান জিনিস আনুমানিক ১০ থেকে ১২ ভরি সোনার গহণা এবং মূল্যবান জিনসপত্র ও গৌতমের ওষুধের দোকান থেকে নগদ এক লাখ বাহাত্তর হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গৌতম লোক লজ্জার ভয়ে এতোদিন এ ঘটনা গোপন রাখে। কিন্তু বর্তমানে সে যুথী সাহা গৌতমের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা গৌতমের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে এবং বিভিন্ন উপায়ে গৌতমের জীবননাশের হুমকি প্রদান করছে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসম্মানজনক পোস্ট করছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুথী সাহা জানান, এই অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমি প্রায় দুই মাস ধরে শাশুড়ির সাথে কথা বলি না। দুই সপ্তাহ আগে আমার বড় মেয়ে কথা বলেছিলো।
বিআলো/নিউজ