জলাধার দখল করে তিন দশকে তৈরি হয়েছে ‘কালো অর্থনীতি’: ডিএনসিসি প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে পার্ক, জলাধার ও জলাভূমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের জন্য ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ নানা ধরনের অনিয়ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আফতাবনগরে জলাধার রক্ষার্থে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী নির্ধারিত জলাধারসমূহ রক্ষায় সরকারি অবস্থান তুলে ধরেন প্রশাসক।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যেসব জমি জলাধার হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে এখনই যদি সাইনবোর্ড বসানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন এটি সরকারের জলাধার হিসেবে সংরক্ষিত এলাকা। এতে তারা আর এই জমিতে বিনিয়োগ বা প্লট কিনবেন না।
তিনি আরও বলেন, গত তিন দশকে ঢাকার আবাসন খাতে অনৈতিক ও কালো অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠেছে। ভূমিকে পণ্য বানিয়ে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদকে এমনভাবে বাজারজাত করা হয়েছে, যেন তা শুধু অবৈধ উপার্জনকারীদের নাগালেই থাকে। ফলে রাজধানীতে সৎভাবে বসবাসরত মানুষের পক্ষে একটি ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তারা জানান, ড্যাপ অনুযায়ী ঢাকার প্রায় ১,৫০০ একর জলাধার রক্ষায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস