গত একদিনে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৯
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের মধ্যে গাজা উপত্যকায় আবারও বেড়েছে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুই ফিলিস্তিনি ক্ষুধায় প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৯ জনে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাহারে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কমপক্ষে ৯০ জন শিশু। বর্তমানে উপত্যকায় শিশুদের জন্য ফর্মুলা পানীয়ের ঘাটতি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ‘এখন চলছে’।
ইসরাইল বলেছে, তারা গাজায় সাহায্য প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে না – এই দাবিগুলো ইউরোপে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র, জাতিসংঘ এবং গাজায় সক্রিয় অন্যান্য সংস্থাগুলো মেনে নিচ্ছে না।
আরেকটি পৃথক ঘটনায়, গাজা হাসপাতাল সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, বুধবার সকালে দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্রগুলো জানিয়েছে , বিতরণ কেন্দ্র উদ্বোধনের কিছুক্ষণ আগে জনতা সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল এবং একটি ইসরাইলি ট্যাংক তাদের ওপর হামলা চালায়।
তবে জিএইচএফ বিবিসিকে জানিয়েছে, আজ তাদের স্থাপনায় বা তার কাছাকাছি কোনও হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘সন্দেহভাজনদের’ সমাবেশ তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করে জানায়, তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিতরণ কেন্দ্র থেকে ‘শত শত মিটার দূরে সতর্কীকরণ গুলি ছোড়ে’।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে নিহতের সংখ্যা আইডিএফ-এর কাছে থাকা তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজার অবরোধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিআলো/শিলি