গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ, এখনও পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হয়নি: আমিনুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বাংলাদেশ, তবে এখনো তা পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা আজমপুরের আমির কমপ্লেক্সের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। তবে দেশে এখনো পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। আগামী ডিসেম্বর কিংবা ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে-এই আমাদের লক্ষ্য।”
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সামনে একটি চক্র—আল বদর বাহিনী—দেশের ভেতরে সংস্কার ও বিচারের নামে ফ্যাসিবাদ উসকে দিচ্ছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপচেষ্টা প্রতিহত করব।”
আমিনুল হক আরও বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, সাধারণ মানুষও তা সমর্থন করেছে। কিন্তু সেই সরকারে কিছু চিহ্নিত অপশক্তি প্রবেশ করে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই—বাংলাদেশ ও জনগণের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।”
তিনি উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কেবল জুলাই-আগস্টেই সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ছিল গত ১৭ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম মনি, মোরশেদ হাসান খান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাতীদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকদলের নেতা মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ মুগ্ধ’র বাবা মুস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ কাজী নূরুল মাকমিনের স্বজন।
বিআলো/তুরাগ