প্রবাসী বিনিয়োগকারীর ৮ কোটি টাকার মালামাল লুট
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৭ বছরের গড়া দুটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ লুটপাট, দখলদারিত্ব ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ করেন আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. আখতারুজ্জামান খান। গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
মো. আখতারুজ্জামান খান জানান, ঢাকার শেরে বাংলা নগরের আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটির এস.জি.আর ৩১ ও ২২ নম্বর দোকানে iMart Computer Technology Ltd. I Computer Mart Inc. নামের দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার দাবি অনুযায়ী, প্রায় ১০ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রীর মালিক তিনি।
কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট, রাজনৈতিক মতভেদ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রধান নির্বাহী নিয়াজ খান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেন। লুট হওয়া মালামালের বিবরণ : এইচপি ল্যাপটপ ৪৬০টি, যার মূল্য ৩,৬৮,০০,০০০ টাকা, ডেল ল্যাপটপ ১৮০টি, যার মূল্য ১,২৬,০০,০০০ টাকা, এসার ল্যাপটপ ৮০টি, যার মূল্য ৪৮,০০,০০০ টাকা, লেনোভো ল্যাপটপ ৬০টি, যার মূল্য ৪২,০০,০০০ টাকা, ডেস্কটপ কম্পিউটার ৪০টি, যার মূল্য ২৪,০০,০০০ টাকা, এইচপি প্রিন্টার ১৩০টি, যার মূল্য ২৮,৬০,০০০ টাকা, অন্যান্য এক্সেসরিজ আনুমানিক ১,২৮,০০,০০০ টাকা।
মোট ক্ষতি : ৮,৮১,৬০,০০০ টাকা। ভাড়ার চুক্তি ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত থাকলেও তা নবায়ন না করে জুলাই-আগস্ট মাসের ভাড়া গ্রহণের পর কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকান দুটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয় এবং রাতের আঁধারে মালামাল লুট করে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি আমেরিকায় অবস্থান করায় সরাসরি প্রতিরোধ করতে পারিনি। দেশে ফিরে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমি নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করি, যা বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে লুটপাট ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন : দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, ক্ষতিপূরণ প্রদান। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাচার প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ। এটি শুধু আমার ক্ষতি নয়; একজন প্রবাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস