ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আলোচনা সভা, চিত্র প্রদর্শনী ও দোয়া মাহফিল
নিহারেন্দু চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা, চিত্র প্রদর্শনী এবং দোয়া মাহফিল। শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল না শুধু ৩৬ দিনের প্রতিবাদ—এটি ছিল দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের ফল। ১/১১-এর জরুরি পরিস্থিতি ও তৎকালীন সরকার ছিল ভারতের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়, যেখানে শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন, মঈন-ফখরুদ্দিন সরকার ছিল তাদের আন্দোলনের ফসল। এরপর থেকেই দেশে ধাপে ধাপে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ খুলে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, সুশাসন নির্বাসনে পাঠিয়েছে, এবং ন্যায়বিচারকে নিঃশব্দে কাঁদতে বাধ্য করেছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সুপ্রিম কোর্ট ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান জাবেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমিন শাহীন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সহকারী সেক্রেটারি জুনায়েদ হাসান, হেফাজতে ইসলাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, ইসলামি ঐক্যজোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন কাসেমী, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি হাফেজ এমদাদুল্লাহ সিরাজী এবং ইসলামি আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিয়াজুল করিম।
অনুষ্ঠানে শহীদ মীর মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মুবারকউল্লাহ।
আলোচনা পর্ব শেষে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ৯ পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
বিআলো/তুরাগ