এবার গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরাইলি নেতা ইয়ার লাপিদ
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইরানের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর গাজায় ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘আর এখন গাজা। সেখানেও যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে। জিম্মিদের ফিরিয়ে দাও, যুদ্ধ শেষ করো!’
রোববার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘অনাদিকাল থেকে ইসরাইলের যুদ্ধের জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত ছিল জনগণের সমর্থন। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সরকারকে সমর্থন না দিলে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থা না রাখলে ইসরাইল রাষ্ট্র যুদ্ধ করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই শর্তগুলোর কোনোটিই এখন পূরণ হয়নি। গাজা যুদ্ধ শেষ করার এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সময় হয়েছে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে লাপিদের এ মন্তব্য এল।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রতিনিয়ত ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনড় মনোভাব ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যথাযথ মডেলের অভাবে অঞ্চলটির সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন অনুযায়ী, তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মডেলের অভাব।
বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্বে বড় একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ণ ঝুলতে থাকে। অপরদিকে, গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের আধিপত্য বাড়তে থাকে। ১৯৯০ সালের অসলো অ্যাকর্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়াও, প্রশাসনিক দায়িত্ব কারা পালন করবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যদি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাও হয়, তবে তার চিত্র কেমন হবে কিংবা প্রশাসনিক কাঠামো কিভাবে তৈরি হবে তা এখনও অজানা।
বিআলো/শিলি