কমিউনিটি ক্লিনিক হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার কেন্দ্র বিন্দু: এমডি আক্তারুজ্জামান
মনিরুজ্জামান মনির: পঞ্চগড় জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয়ক বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আজ শুক্রবার ( ১৫ই আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ নাছির উদ্দিন;
পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও প্রকিউরমেন্ট, আইসিটি ও গবেষণা), আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে নিয়োজিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) পঞ্চগড় জেলার ৫ উপজেলা থেকে ৫৫ জন ও সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন- মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবাকে তাদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিতে সিএইচসিপিগন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সিএইচসিপিদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন- পঞ্চগড় জেলার একজন সিএইচসিপি মেহেরুন নেছা ১২৫২ টি নরমাল ডেলিভারি করেছেন,দেশ ব্যাপী এরকম অসংখ্য মেহেরুন নেছাদের অবদানে গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্র মায়েদের মুখে হাসি ফুটছে। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪,০০০ কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে রুগীদের চাপ কমে আসছে। বছরে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ এই ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে একে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক পঞ্চগড় জনাব সাবেত আলী বলেন- তৃনমূলে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যেসকল মালামাল প্রয়োজন হবে; তা আমি নিজ উদ্যোগে সরবরাহ করবো এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সুচারুরূপে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ পরিচালনা করা হবে। জেলা পরিষদ হতে সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া হবে।
বিআলো/ইমরান