মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিন অঙ্গের সমন্বয়ের বিকল্প নেই: আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগ পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় ছাড়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলাল বলেন, সরকারগুলো অস্থায়ী, রাষ্ট্রই স্থায়ী। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ যদি আন্তঃসংযোগ ও সমন্বয় না রাখে, তবে মানবাধিকার টেকসই করা সম্ভব নয়। সমন্বিত চিন্তার ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদি মানবাধিকার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বৃহত্তম ভোটারের দেশ ভারতে তাদের জাতীয় সংবিধান ইতিমধ্যে ১০৮ বার সংশোধিত হয়েছে। সংস্কার ও বিশুদ্ধতা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আলাল বলেন, “তারেক রহমান সাহেবের আহ্বান কি সবাই শুনছেন? কিছু কর্মী কি কুকীর্তির মধ্যে জড়িয়ে পড়ছেন না? অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কাছে তারা ঘৃণার পাত্র হয়ে যাচ্ছেন না?”
মানবাধিকারের প্রশ্নে বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে ধর্মের নামে উদ্বেলিত করে অর্থ আদায় করলে সেটি ‘হাদিয়া’ হয়, অথচ অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নিলে সেটি হয় ‘চাঁদাবাজি’। অথচ মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। সরকারি দফতরে আইনটি টানানো থাকলেও সাধারণ মানুষ তথ্য চাইতে গেলে সদুত্তর না পেয়ে বরং অপদস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বিআলো/এফএইচএস