সাবান-জলের প্রভাবে চামড়া উঠছে হাতের? সমাধান আছে বাড়িতেই
আলো ডেস্ক: শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল হাত। অথচ বারবার জলের সংস্পর্শে আসলে বা সাবানের সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে সেই হাতের চামড়াতে সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত হাত ধোয়া স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অপরিহার্য হলেও অতিরিক্ত সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে হাতের প্রাকৃতিক তেল কমে যায়। ফলস্বরূপ হাতের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফেটে যেতে শুরু করে এবং অনেক সময় চামড়া উঠতে থাকে। এই সমস্যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় এগজিমা বলে। অনেক ক্ষেত্রে এটি তীব্র ড্রাইনেসের লক্ষণ হতে পারে। যদিও কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে হাতের ত্বক আবার কোমল ও সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
অতিরিক্ত সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার। বারবার জলের সংস্পর্শে আসা। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া। ডিটারজেন্ট বা কেমিক্যালের প্রভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। ভিটামিন ও ময়েশ্চারাইজারের অভাব।
ঘরোয়া সমাধান –
নারকেল তেল – হাত ধোয়ার পর শুকিয়ে নিয়ে হালকা গরম নারকেল তেল হাতে মালিশ করলে ত্বকের ভেতর পর্যন্ত আর্দ্রতা পৌঁছায়। এতে শুষ্কতা কমে এবং খসখসে ত্বক মসৃণ হয়। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে নারকেল তেল লাগিয়ে তুলোর দস্তানা পরে নিলে বেশি উপকার মেলে।
অ্যালোভেরা জেল – অ্যালোভেরায় প্রাকৃতিক হাইড্রেটিং উপাদান আছে যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। হাত ফাটতে শুরু করলে অ্যালোভেরা জেল সরাসরি লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের জ্বালাভাব ও টান কমায় এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে।
মধু – মধু একটি প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট, যা আর্দ্রতা ধরে রাখে। সপ্তাহে কয়েকদিন মধু সরাসরি হাতে মেখে ১০–১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে চামড়া ওঠা কমে যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে হাতের ত্বক আবার কোমল হয়ে ওঠে।
দুধ এবং ওটস প্যাক – এক চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চামচ ওটস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে হাতে লাগান। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে। মৃত কোষ তুলতে সাহায্য করে এবং নতুন ত্বককে পুষ্টি দেয়।
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস – অল্প অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মালিশ করলে হাতের শুষ্কতা কমে এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। তবে ক্ষত বা ফাটা থাকলে লেবু না দেওয়াই ভালো।
ঘি বা মাখন – রান্নার ঘিয়েও হাতের শুষ্কতা কমানো যায়। হাতে ঘি মাখলে প্রাকৃতিক তেল সরবরাহ হয় এবং চামড়া ওঠা দ্রুত কমে।
বিআলো/ইমরান