নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষুব্ধ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধনের সময় নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় টোল প্লাজার পাশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মকর্তাদের বলেন, এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে? তাহলে কেন আমার নাম থাকবে? এটা ইমিডিয়েটলি পরিবর্তন করো। আমার নাম কেন থাকবে? যারা করেছে, মন্ত্রণালয়ের বা অন্যান্যদের নাম থাকতে পারে।
পরিস্থিতিতে নামফলক উন্মোচন না করেই ফিতা কেটে ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনসহ অনেকে।
উদ্বোধনের আগে বক্তব্যে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, যা কমাতে হবে। আপনারা জানেন, রাস্তাঘাট দুর্নীতির বড় ক্ষেত্র। এই দুর্নীতি কমাতে পারলে এবং প্রকৌশলীরা দায়িত্বশীল হলে রাস্তা নির্মাণ ব্যয় ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সড়কের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রেলপথ, নদীপথ ও আকাশপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রকল্পটির ৮০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জুনে পুরো এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সমাপ্ত হওয়া ১৮ কিলোমিটার অংশে যান চলাচল শুরু হলেও নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আংশিকভাবে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস