৮ হাজার সৈন্য নিয়ে সাগরে ন্যাটো মিত্রদের সামরিক মহড়া শুরু
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বাল্টিক সাগর অঞ্চলে জার্মানির নেতৃত্বে সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া ‘নর্দার্ন কোস্টস’ শুরু হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ ডজনেরও বেশি ন্যাটো মিত্র দেশ অংশগ্রহণ করেছে। খবর আনাদোলু’র।
জার্মানির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কার্স্টেন ব্রুয়ার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, সামরিক মহড়াগুলো কোয়াড্রিগা মহড়া সিরিজের মূল অংশ হবে, যার লক্ষ্য- অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং ‘অপারেশনাল’ প্রস্তুতি উন্নত করা।
তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আমাদের ওপর নজর রাখছেন। তার পরিকল্পনা ইউক্রেনের বাইরেও বিস্তৃত। সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে আমাদের এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বাহিনী হাইব্রিড এবং প্রচলিত উভয় হুমকির ওপরই মনোনিবেশ করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামরিক মহড়ায় ১৪টি দেশের ৮ হাজার সৈন্য, ৪০টি জাহাজ, ৩০টি বিমান এবং ১ হাজার ৮০০টিরও বেশি যানবাহন অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সমুদ্র, স্থল এবং আকাশপথে লিথুয়ানিয়ায় সৈন্য এবং সরঞ্জাম পরিবহনের অনুশীলন করব।’
জেনারেল কার্স্টেন ব্রুয়ার রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য উত্তেজনা সম্পর্কেও সতর্ক করেছিলেন, যা ন্যাটো লিথুয়ানিয়ার সীমান্তের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া ‘জাপাদ’ পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, কোয়াড্রিগার কিছু অংশ অনিবার্যভাবে ‘জাপাদের’ সঙ্গে ওভারল্যাপ করবে। উভয় মহড়াই ঘনিষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সামরিক বাহিনী একে অপরের কাছাকাছি অবস্থান করবে।
জার্মানির এই শীর্ষ সামরিক কমান্ডার আরও বলেন, ‘আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমরা প্রতিরোধ করতে চাই, উত্তেজনা বৃদ্ধি চাই না। আমরা একচেটিয়াভাবে প্রতিরক্ষা অনুশীলন করছি।’
ব্রুয়ার বলেন, ‘জাপাদ-২০২৫ নিয়ে আমরা এখনো এমন কোনো প্রমাণ পাইনি যে মহড়ার আড়ালে আক্রমণের জন্য কোনো প্রস্তুতি রয়েছে। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। আর সতর্ক থাকার মাধ্যমে, আমি কেবল জার্মান সশস্ত্র বাহিনীকে বোঝাচ্ছি না, আমি ন্যাটোকে বোঝাচ্ছি।’
বিআলো/শিলি