জাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। তবে এ নির্বাচন ঘিরে কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাকসু নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, জাকসু নির্বাচনে ৭ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিটে বডি ওন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।
নির্বাচনে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থীদের ২৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। তবে ভিপি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই।
এবারের নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রসহ মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে শেখ সাদী হাসান এবং জিএস পদে তানজিলা হোসেন বৈশাখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর নেতৃত্বে রয়েছেন আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের হয়ে ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু এবং জিএস পদে মো. শাকিল আলী লড়ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে অংশ নিচ্ছে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।
এ ছাড়া ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল থেকে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জন আদালতের রায়ে প্রার্থিতা হারিয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ থেকে জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন ও এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস প্রার্থী হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।
বিআলো/শিলি