দূর্নীতির বরপুত্র: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার
বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজস্ব আদায়কেন্দ্র। এ হাউসটিকে দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান-অভিযোগ এমনই। সহকর্মী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তিনি নানা সিন্ডিকেট গড়ে ঘুষ বাণিজ্যের এক অঘোষিত সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
কাস্টমসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মারুফুর রহমানের অধীনে অন্তত দুটি বড় সিন্ডিকেট সক্রিয়। এর একটি মদ ও সিগারেটের আমদানি চালান থেকে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ আদায় করে। অপর সিন্ডিকেটের সদস্যরা গ্রীন চ্যানেল ও রফতানি চালান থেকে নিয়মিত টাকা সংগ্রহ করে তার কাছে পৌঁছে দেন। অভিযোগ আছে, একটি রফতানি চালান ছাড় করতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।
বন্দরে সমুদ্রগামী জাহাজ ছাড়পত্র নিয়েও অনিয়ম চলে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ছাড়পত্র প্রদানে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়।
অভিযোগ আছে, একসময় তিনি নিজেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের শ্যালক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন। বর্তমানে এনবিআরের দুই সদস্যের নাম ভাঙিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সরকারি বেতন-ভাতার বাইরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন মারুফুর। তার গ্যারেজে রয়েছে দুটি প্রিমিও গাড়ি ও একটি নতুন হ্যারিয়ার। স্ত্রী-সন্তান লন্ডনে বসবাস করেন, সেখানেই বাড়ি কিনে দিয়েছেন তিনি। প্রথম স্ত্রী নারীঘটিত কারণে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কর্মকর্তাদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করেন, সিন্ডিকেটের প্রভাব পুরো কাস্টমস হাউসেই ছড়িয়ে পড়েছে।
বিআলো/এফএইচএস