“অপপ্রচার নয়, কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য কেএসআর”
অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কেএসআর, কৃতজ্ঞতার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ (কেএসআর)–বাংলাদেশ অফিস তাদের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাজধানীর উত্তরায় আয়োজিত এক মিট দ্য প্রেস-এ সংস্থার পক্ষ থেকে সবাইকে এ ধরনের বিভ্রান্তি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সংস্থার কার্যক্রমে উপকৃত লাখো মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনায় এনে ধন্যবাদ জানানোর আহ্বানও জানানো হয়।
ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা
মিট দ্য প্রেসে কেএসআর-এর গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. মুফিজুর রহমান সুজন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম দাতাদেশ কুয়েতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ মহল দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ব্যাহত করতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
মিথ্যা অভিযোগের নিন্দা
সম্প্রতি ইনকিলাব, ঢাকা পোস্ট, জাগো নিউজ, শীর্ষ নিউজ ও এটিএন বাংলাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে কেএসআর-এর অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়। প্রতিবেদনে ‘মনিরুল সিন্ডিকেটের হিসাবে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ’ শিরোনামে জনৈক রেজাউল আলম শাহিনকে ঘিরে অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে মুফিজুর রহমান বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কেএসআর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সংবাদকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।”
স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা
কেএসআর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের সব কার্যক্রম কুয়েতের সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদনক্রমে পরিচালিত হয়। সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং অনুমোদিত অডিট ফার্মের মাধ্যমে নিয়মিত অডিট করা হয়। এনজিও ব্যুরোর যাচাই-বাছাই শেষে নতুন অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া কুয়েত দূতাবাস ঢাকায় সংস্থার মাদার অ্যাকাউন্টে অনুদান জমা হওয়া থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ফলে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই।
শাহিনের সীমিত দায়িত্ব
সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, রেজাউল আলম শাহিন ছিলেন কেবল একজন প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টার। তিনি নিয়ম মেনে কেএসআর-এর অর্থায়নে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা ও অস্থায়ী আশ্রয় নির্মাণ প্রকল্পসহ কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি শুধু প্রাপ্য বিল নিয়েছেন। এর বাইরে তার সঙ্গে কেএসআর-এর কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং বর্তমানে নেই।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আহ্বান
কেএসআর জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। দেশের লাখো মানুষ এসব প্রকল্প থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। তারপরও একটি মহল ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তাই কেএসআর সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে— মিথ্যা প্রচারণায় কান না দিয়ে বরং সহযোগী সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে।
বিআলো/তুরাগ