কদমতলীতে বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উদঘাটন, ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ভগ্নিপতি
সুমন চৌধুরী: ঢাকার কদমতলীতে উদ্ধার হওয়া রোকসানা (৩০) নামের এক নারীর বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উদঘাটনে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ভগ্নিপতি এলাহি ইব্রাহিম (৪২), বোন সুমি আক্তার (৩২) এবং সাইফুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া শাখা জানায়, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কদমতলী থানার পুলিশ হাজী লাল মিয়া সড়ক থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পরে সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহত রোকসানার বোন সুমি আক্তার ও দুলাভাই এলাহি ইব্রাহিম থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।
পরবর্তীতে নিহতের ভগ্নিপতি মো. গোফরান হাওলাদার বাদী হয়ে কদমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ডিসি (ওয়ারী) হারুন অর রশিদের নির্দেশনায় ওসি মোহাম্মদ আইয়ুবের নেতৃত্বে চারটি টিম তদন্ত শুরু করে।
সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কদমতলীর জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পলিথিন ও ভিকটিমের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন-সাইফুল ইসলামের সঙ্গে রোকসানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সাইফুল অন্য এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে রোকসানা আপত্তি জানান। বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাইফুল, তার বোন সুমি আক্তার ও দুলাভাই এলাহি ইব্রাহিম পরিকল্পনা করে রোকসানাকে হত্যা করেন।
কদমতলীর একটি ভাড়া বাসায় শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় নির্জন সড়কে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিআলো/এফএইচএস