বিপদসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ জলকপাট
এস এ সজীব, লালমনিরহাট: ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বিপৎসীমা ওঠা-নামা করছে তিস্তার পানি। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার ডালিয়া ব্যারেজে ৪৪টি জলকপাটই খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সকাল ৬টায় ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ৯টার পর তা ১ সেন্টিমিটার এবং দুপুরের পর ৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে যায়।
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী এবং রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলে ইতোমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়তে পারে যে কোনো সময়। অনেক পরিবার মালপত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন, “গতকাল রবিবার থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঘরে পানি ঢোকার উপক্রম হয়েছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা আনিস বলেন, “প্রতি বছর বন্যা এলে জমি আর ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। এখনো সেই আতঙ্কে আছি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি ওঠানামা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, “উজান থেকে প্রচুর পানি আসছে, সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
বিআলো/শিলি