আলফী আলমগীর আকসা হলেন ‘মিস অ্যান্ড মিসেস এলিগ্যান্স বাংলাদেশ ২০২৫’
বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিনোদন জগতে যুক্ত হলো এক নতুন নাম—আলফী আলমগীর আকসা। ঢাকার এই তরুণী জয় করেছেন বহুল প্রতীক্ষিত ‘মিস অ্যান্ড মিসেস এলিগ্যান্স বাংলাদেশ ২০২৫’ এর মুকুট। গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে আলো ঝলমলে পরিবেশে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধি
এই জয়ের মধ্য দিয়ে আকসার সামনে খুলে গেল আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দরজা। আগামী নভেম্বরে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ওম্যান অব দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৫’ এর মূল আসর। সেখানে বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্ব সুন্দরীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
আইন শিক্ষার্থী থেকে গ্ল্যামার দুনিয়ায়
আলফী আলমগীর আকসা বর্তমানে রাজধানীর আইইউবি-তে আইন বিষয়ে অনার্স করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে নৃত্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নাচ, অভিনয় ও মডেলিং—সব ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে ইতিমধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছেন।
অভিনয়ে নতুন যাত্রা
গ্ল্যামার দুনিয়ায় আকসার উপস্থিতি আরও শক্তিশালী হতে যাচ্ছে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি এরই মধ্যে জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খানের বিপরীতে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। শিগগিরই নাটকটি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে। অভিনয়কেই ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান আকসা।
সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন
গ্ল্যামার দুনিয়ার বাইরে আকসার আরেকটি বড় স্বপ্ন রয়েছে। আইন বিষয়ে পড়াশোনা করায় তিনি চান সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করতে। তার ভাষায়, “আমার ইচ্ছে সমাজের বিধবা নারী ও অনাথ শিশুদের জন্য কিছু করার। তারা যেন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়—সেই লক্ষ্যেই কাজ করতে চাই।”
সেলিব্রিটি প্রতিক্রিয়া
আকসার এই অর্জনে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তার সহশিল্পী আরশ খান। তিনি বলেন, “আকসা শুধু সুন্দরী নন, ভেতরে ভেতরে একজন লড়াকু মানুষ। তার প্রতিভা এবং আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে আলাদা করে উপস্থাপন করবে।”
আয়োজক কমিটির অভিমত
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান জানান, “এই প্রতিযোগিতা শুধু সৌন্দর্যের নয়, এটি ব্যক্তিত্ব, প্রতিভা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ যাচাইয়ের আসর। আকসা সেই সব গুণাবলি নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।”

বিশেষ মুহূর্তের বর্ণনা
ফিনালে রাতটি ছিল রঙিন আলোয় ভরপুর। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপে আকসা তার আত্মবিশ্বাসী উত্তর, সাবলীল উপস্থিতি ও নৃত্য-অভিনয়ের ঝলক দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করেন। বিজয়ের মুহূর্তে তার চোখ ভরে উঠেছিল অশ্রুজলে, আর দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হলরুম।
আকসার কৃতজ্ঞতা ও প্রত্যাশা
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আকসা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন,
“এই সম্মান আমার জীবনের বড় অর্জন। আয়োজক ও বিচারকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন ম্যানিলার মঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারি।”
বিআলো/তুরাগ