উত্তরা আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপ, পুলিশের অভিযানে চাঞ্চল্য
অভিযোগ রয়েছে, হোটেলগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অসামাজিক ব্যবসা চালাচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজে রঙিন কার্ড ছড়িয়ে খদ্দের টানা হচ্ছে, যা পথচারীদের জন্য বিব্রতকর।
মো. যুবায়ের আলম: রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। নিয়মিত অভিযান ও গ্রেফতার অভিযান সত্ত্বেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থামছে না।
শনিবার রাতে আব্দুল্লাহপুরের ড্রিম গার্ডেন ও প্রাইম আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ৪ নারী ও ৬ পুরুষসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—প্রান্তর (২০), ফয়সাল (২১), আব্দুল কাদের (৫০), আল-আমীন (২০), শ্রী তনয় ওরফে অপু (৪০), সাঈদ মিয়া (২২), লিপি আক্তার (২৪), সাবিয়া আক্তার (২০), রেজিয়া খাতুন (২৩) ও মেহনাজ তাহজিন মিন (২৮)।
স্থানীয়দের অভিযোগ
অভিযোগ রয়েছে, এসব হোটেল নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজ ও ফুটপাথে রঙিন ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়ে খদ্দের টানা হচ্ছে, যা পথচারীদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। অনেক হোটেল আবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিকে আছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিন চিত্র
আজমপুর কাঁচাবাজারের সিঙ্গাপুর আবাসিক হোটেল, এবং উত্তরা ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের একাধিক হোটেলে দিন-রাত অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এমনকি কিছু হোটেল ভুয়া বিমান অনুমোদিত লোগো ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে।
পুলিশের অবস্থান
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় প্রতিমাসেই এসব হোটেলে অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা অল্প সময়ের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, “অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য পেলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহিদুল ইসলাম জানান, “আমরা নিয়মিত রেইড চালাচ্ছি। তবে জনবল সংকট ও দ্রুত জামিনের কারণে অপরাধীরা পুনরায় একই কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যায়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার এখতিয়ার সিটি কর্পোরেশনের—তারা চাইলে হোটেল বন্ধ করে দিতে পারে।”
বিআলো/তুরাগ