বিএআরসি-তে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর কৃষি প্রকৌশল ইউনিট আয়োজিত ‘Climate Resilient Sustainable Agrifood Systems in the Salt-Affected Coastal Zones of the Ganges Delta: Evidence and Future Roadmaps’ শীর্ষক কর্মশালা ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রবিবার বিএআরসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ACIAR, অস্ট্রেলিয়া ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এ কর্মশালার অর্থায়ন করেছে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) মোঃ জোবায়ের হোসেন বাবলু। বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, কেজিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মিশন উপ-প্রধান মি. ক্লিন্টন পোবকি এবং ACIAR দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ড. প্রতিভা সিং।
কর্মশালায় প্রকল্পের সংক্ষিপ্তসার ও মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন CSIRO, Canberra, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান গবেষক ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন। বিএআরসি’র প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য পরিচালক ড. মোঃ বক্তীয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
কারিগরি সেশনে শস্য, পানি ও পশুপালন বিষয়ে অধ্যাপক ড. এম এ হামিদ; মৎস্য বিষয়ে অধ্যাপক ড. কাইজার আহমেদ সুমন; এবং পানি, মানবস্বাস্থ্য ও জীবিকা বিষয়ে ড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এ বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান, ডিএই, বিএডিসি, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়, উপকূলীয় এলাকায় কৃষি উন্নয়নে কাজ করা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার CSIRO ও Murdoch University; বাংলাদেশের বিএআরসি, বিএআরআই, বিআরআরআই ও সুশীলন; এবং ভারতের ICAR-CSSRI, BCKV, RMVERI ও TSRD যৌথভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানি ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদনশীলতা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২১-২০২৬ মেয়াদী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু-সহনশীল কৃষিকাজের জন্য উচ্চ-রেজোলিউশন ভূমি ব্যবহার ও লবণাক্ততার মানচিত্র, ঝুঁকি-ভিত্তিক জোনিং সরঞ্জাম, APSIM বা রবি ফসল সিদ্ধান্ত সহায়তা সরঞ্জামের মতো প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কৃষকরা ইতোমধ্যে স্বল্প-মেয়াদী ধান, জিরো টিলেজ পদ্ধতিতে আলু ও সূর্যমুখী চাষ এবং পতিত জমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকল্প মানব সম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি ১৯ জনকে পিএইচডি এবং বেশ কয়েকজন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে। CSIRO-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ডেটাকিউব প্রজেক্ট ফসল ও প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণে এগিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা প্রান্তিক কৃষকের কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিআলো/এফএইচএস