রংপুরে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, ১১ ঘন্টা পর উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের পীরগাছায় সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাট অভিমুখী যাত্রীবাহী ২১ আপ পদ্মরাগ কমিউটার ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগাছা রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনে থাকা ছয় শতাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ ট্রেনটি পীরগাছা স্টেশনে এসে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিল। দোলনচাঁপা স্টেশন ছেড়ে গেলে পদ্মরাগ পুনরায় যাত্রা শুরু করে। কিন্তু এক নম্বর লাইন থেকে দুই নম্বর লাইনে ক্রসিংয়ের সময় হঠাৎ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও লাইন ও সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় লালমনিরহাট ও পার্বতীপুর থেকে আসা দুটি রিলিফ ট্রেনের সহায়তায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মী গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের কাঠের স্লিপারগুলো পচে গিয়েছিল, সেখানে পর্যাপ্ত পাথরও ছিল না। রেলের পাতগুলোও ছিল জংধরা। বহু বছর ধরে পশ্চিমাঞ্চলের মিটার গেজ লাইন সংস্কার না হওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এক প্রত্যক্ষদর্শীর মন্তব্য, “যদি এটি স্টেশনের বাইরে চলন্ত অবস্থায় ঘটত, তাহলে ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটতে পারত।”
দুর্ঘটনার কারণে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ আশপাশের অঞ্চলে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে হাজারো যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে বিপাকে পড়েন। কেউ কেউ বিকল্প যানবাহনে যাত্রা সম্পন্ন করেন।
এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
বিআলো/শিলি