কাতারে হামলা: নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: কাতারের রাজধানী দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আর এ কারণে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছে কাতার। নেতানিয়াহুর এক বক্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার এ কথা জানান কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। সূত্র: আনাদোলু
এর আগে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গত সপ্তাহে দোহায় পাঁচ হামাস সদস্যসহ ৬ জনকে হত্যা করা ইসরাইলি হামলা ব্যর্থ হয়নি। এটি একটি বার্তা বহন করে। তা হলো হামাস যেখানেই যাক, যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেন তাদের ওপর বার বার হামলা করা হবে।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর কাতারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আনসারি বলেন, আমরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বেপরোয়া নীতির কারণে প্রতিটি ব্যর্থতার ন্যায্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করছি। আমরাও তাকে একটি বার্তা পাঠাতে চাই। তা হলো, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শাস্তি পেতেই হবে।
গত সপ্তাহে কাতারের দোহায় হামাস শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় ইসরাইল ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে হামাসের জৈষ্ঠ নেতারা বেঁচে যান, তবে ৬ জন নিহত হন।
মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়া সেই হামলায় ৬ জন নিহত হন, কিন্তু সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান খলিল আল হায়া ও হামাসের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এ ঘটনায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা সম্পর্কে আনসারি বলেন, ‘এটি বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না কারণ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তার সাথে আলোচনাকারী প্রত্যেককে হত্যা করতে এবং মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রের ওপর বোমা হামলা চালাতে চান।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাজেদ আল আনসারি বলেন, কাতার বর্তমানে তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি হামলার জবাব, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের হামলা আর না ঘটে- সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ওপর সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ২০১২ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশের মধ্যে কাতার অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।
বিআলো/শিলি