৭৫তম জন্মদিনে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান মোদির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৭৫তম জন্মদিনে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করেন ‘নতুন ভারত পারমাণবিক হুমকিতে ভীত নয়।’ মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার উপজাতি অধ্যুষিত ভৈনসোলা গ্রামে আয়োজিত সমাবেশে মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিদুঁর’-এ ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করেন। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, আমাদের সাহসী সেনারা চোখের পলকে পাকিস্তানকে হাঁটুতে নামতে বাধ্য করেছিল। মাতৃভূমির নিরাপত্তা জাতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা আমাদের কন্যা ও বোনদের মর্যাদা কলঙ্কিত করতে চেয়েছিল। অপারেশন সিদুঁরের মাধ্যমে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছি। এটাই নতুন ভারত, যা পারমাণবিক হুমকিতে বিচলিত হয় না; শত্রুর ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হুমকি নিঃশেষ করে আসে। এ সময় তিনি স্মরণ করেন ১৯৪৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ‘অদম্য ইচ্ছাশক্তি’র কথা, যখন ভারতীয় সেনারা হায়দরাবাদ মুক্ত করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। মোদি বলেন, এখন থেকে আমরা দিনটিকে হায়দরাবাদ মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করি।
আজ হায়দরাবাদে এ উপলক্ষে বড় আয়োজন চলছে। উৎসব মৌসুম সামনে রেখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কেবল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কেনার আহ্বান জানান। তিনি নতুন স্লোগান দেন ‘গর্ব সে কহো ইয়ে স্বদেশি হ্যায়’ (গর্বের সঙ্গে বলুন, এটি স্বদেশি)। মোদি বলেন, উৎসবের এই সময়ে স্বদেশি মন্ত্র আমাদের জীবনে ধারণ করতে হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয়কে আমি আহ্বান জানাই শুধু স্বদেশি পণ্য কিনুন। যেসব পণ্যে মাটির গন্ধ আছে, শ্রমিকের ঘাম আছে সেসব কিনলেই হবে আত্মনির্ভর ভারতের পথে অগ্রযাত্রা। তিনি জানান, ২২ সেপ্টেম্বর শরৎ নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে কমানো জিএসটি হার কার্যকর হবে।
সেদিন থেকে আমাদের সম্পূর্ণ স্বদেশি পথে হাঁটা শুরু করা উচিত। শিশুদের খেলনা থেকে পূজার প্রতিমা, দীপাবলির সাজসজ্জা থেকে মোবাইল ফোন, ফ্রিজ কিংবা টেলিভিশন সবকিছুতেই স্বদেশি পণ্য কিনতে হবে। মোদি ব্যবসায়ীদেরও আহ্বান জানান, তারা যেন কেবল স্বদেশি পণ্য বিক্রি করেন এবং দোকানের সামনে বোর্ড ঝুলিয়ে লেখেন ‘গর্ব সে কহো ইয়ে স্বদেশি হ্যায়।’ জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী দুটি কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, ‘সুস্থ নারী, সশক্ত পরিবার’ এবং অষ্টম ‘রাষ্ট্রীয় পুষ্টি মাস’। তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতির মূলভিত্তি নারী। দেশের মা-বোনদের আশীর্বাদই আমার রক্ষাকবচ। আজ আমি তাদের কাছে প্রার্থনা করছি আপনারা বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবিরে অংশ নিন। এখানে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো নীরব ঘাতক রোগের আগাম শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা হবে। প্রয়োজন হলে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডের মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসাও বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
বিআলো/ইমরান