ফ্রান্সে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১৮১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাস্তায় ফের দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে জনঅসন্তোষ। সরকারের প্রস্তাবিত ৪৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরোর বাজেট কাটছাঁট ও জনসেবা খাতে ব্যয়ের সংকোচনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে লাখো মানুষ রাস্তায় নামলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী প্যারিসসহ লিওঁ, নঁতে, মার্সেই ও বোর্দোর মতো বড় শহরগুলো বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে। শ্রমিক ইউনিয়ন সিজিটি দাবি করেছে, দেশজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বৃহস্পতিবারের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি।
শান্তিপূর্ণ মিছিলের পাশাপাশি কয়েকটি স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্যারিসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। টিয়ারগ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে দাঙ্গা পুলিশ।
দেশজুড়ে ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন প্যারিস থেকে। লিঁও শহরে সংঘর্ষে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন। পুলিশের ১১ সদস্যও হালকা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এ আন্দোলন। মেট্রো ও রেল পরিষেবা আংশিকভাবে বন্ধ ছিল, স্কুলে ক্লাস স্থগিত হয়, হাসপাতাল ও ফার্মেসিতেও পরিষেবা ব্যাহত হয়। অনেক দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু বলেছেন, বাজেট সংস্কার দেশের আর্থিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি। তবে সমালোচনার মুখে কয়েকটি প্রস্তাব, বিশেষত ছুটির দিন বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান জনবিক্ষোভে রাজনৈতিক অঙ্গনও সরগরম। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো সরকারের সামনে বাজেট পাশ করানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকদের মতে, এ সংকট যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে ফ্রান্স আরো এক দফা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে।
বিআলো/ইমরান