• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    নবীনগরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ 

     dailybangla 
    20th Sep 2025 9:38 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে এখানকার অনেক জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতার শিকার হয়। এসব জমিতে ভাসমান পদ্ধতিতে ধাপ তৈরি করে কিংবা ডালি পদ্ধতিতে নানা ধরনের সবজি আবাদ করা হচ্ছে।

    এ ধরনের সবজি আবাদে কৃষক লাভবান হচ্ছে এবং সেচের পানি যেমন কম লাগে, অতি বৃষ্টিতে ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না। তা ছাড়া বাঁশের তৈরি ডালি পদ্ধতির কাঠামো বর্ষা মৌসুম শেষে পরবর্তী সময় কমপক্ষে দুই মৌসুম মাচা জাতীয় সবজি আবাদ করা যায়, এতে অল্প খরচে জমি থেকে সবজি আবাদে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

    বছরের এ সময় অতিবৃষ্টিতে অনেক সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে সবজির দাম চড়া থাকে, ফলে যেকোনো সবজি জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত লাভজনক।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে নবীনগর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ জমিতে ভাসমান আবাদের ওপর কৃষকদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনী দেওয়া হচ্ছে। এ মৌসুমে নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর, নাটঘর, রছুল্লাবাদ, সাতমোড়া, সলিমগঞ্জ এবং বড়িকান্দি ইউনিয়নে ভাসমান ডালি পদ্ধিতিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে।

    ইব্রাহিমপুরের গ্রামের কৃষক মাসুদ জানান, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ জায়গা আগে পতিত পড়ে থাকত তিন থেকে চার মাস। দেশের অনেক জায়গায় ভাসমান ডালি পদ্ধতিতে কৃষিকাজ খুব জনপ্রিয়। আমি উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় দশ শতাংশ জায়গায় ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করেছি, ইতিমধ্যে প্রায় দুইশ লাউ বিক্রি করে পনেরো হাজার টাকা আয় করেছি। এই পদ্ধতিতে সবজি আবাদে সবজি অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। সবজির বাজারমূল্য অনেক ভালো। আগামীতে আরও জমি ভাসমান ডালি পদ্ধতিতে সবজি আবাদ করব।

    নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের কৃষক সাহেব মিয়া জানান, ইউনিয়নে আমি প্রথম কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ভাসমান ডালি পদ্ধতিতে সবজি আবাদ করছি। আমি ১৮ শতক জমিতে ময়না লাউ আবাদ করেছি। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে আশা করি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করা সম্ভব। আগে এই সময় জমি পরিত্যক্ত থাকত। আমার দেখাদেখি অনেকেই এই পদ্ধতিতে আগামীতে সবজি আবাদ করতে আগ্রহী।

    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, ভাসমান ডালি পদ্ধতিতে কৃষকদের আবাদ কৌশল শেখাতে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভাসমান ডালি কাঠামো তৈরি এবং বীজ সার দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে। এই পদ্ধতিটি নিরাপদ কৃষি উৎপাদন প্রযুক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে সমাদৃত হয়েছে। আগামীতে এই প্রযুক্তি সবজি চাষ এই অঞ্চলের জন্য দারুণ সম্ভাবনাময়।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930