রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে জিম্মি ড্রাইভার-স্বজনরা
কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি
সুমন মাহমুদ: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে সংঘটিত হয়েছে ডাকাতির ঘটনা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার খালিশাকুন্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়ীয়া মাঠের মধ্যে রাস্তায় গাছ ফেলে ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল এ ঘটনা ঘটায়। এসময় ডাকাতরা অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে ড্রাইভার ও রোগীর স্বজনদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়। লুটকৃত মালামালের পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কৈপাল গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৫৫) শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্ট্রোকজনিত কারণে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে নিয়ে রওনা দেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে পিপুলবাড়ীয়া মাঠে ডাকাতরা গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করে। পরে তারা ড্রাইভারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে এবং স্বজনদের কাছ থেকেও নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আতিক হাসান বলেন, “রাত ১টার দিকে আমরা রোগী নিয়ে সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাত দল রাস্তার ওপর গাছ ফেলে গাড়ি থামায়। পরে তারা আমাকে মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে আমাদের কাছে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেয়।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি, তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ না পেলেও আমরা ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”
বিআলো/তুরাগ