শুভ মহালয়ার আজ, দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ রোববার। এর মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষ শুরু হলো।
শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। এই ‘চণ্ডী’তেই রয়েছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি।
দেশের অন্যান্য পূজামণ্ডপের মতো ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠান হবে আজ।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে আজ সকাল ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল সাড়ে সাতটায় হবে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় তিল-তর্পণ অনুষ্ঠান। আর সকাল সাড়ে আটটায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা হবে।
ঢাকেশ্বরী দুর্গাপূজা মণ্ডপের পুরোহিত বলেন, মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু হয়। মহালয়ায় দেবী দুর্গার ঘট বসানো হয়। ঘট বসানোর মাধ্যমে দেবী দুর্গা বেলতলায় অবস্থান নেন। অর্থাৎ কৈলাস (স্বর্গলোক) থেকে মর্ত্যে (বেলতলায়) আসবেন দেবী দুর্গা।
এবার দেবী দুর্গার আসার বাহন হবে গজে (হাতি), যা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর বিদায় হবে দোলায় (পালকি), যা অশুভ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।
সনাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা হাতিতে চড়ে মর্ত্যলোকে আগমন করবেন, যা শস্যপূর্ণ বসুন্ধরার বার্তা বহন করে। তবে দেবীর গমন হবে পালকিতে, যা অশুভ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত, যার অর্থ রোগবালাই ও দুর্যোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ১১৯টি বেশি। রাজধানী ঢাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮টি, গতবার ছিল ২৫৩টি।
মহালয়া উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, বনানী মাঠ, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠসহ রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, ভক্তিমূলক সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিআলো/শিলি