বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কে এম মামুন নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মামুন। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরিবার, সহকর্মী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
স্ত্রী খাদিজা বেগম সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর–১২৩১,২২/০৯/২০২৫। তিনি জানান, রবিবার রাতে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে মামুনকে ফোন করে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সোমবার ভোরে সকাল ৬টার দিকে মামুন বাসা থেকে বের হন। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবার শঙ্কিত ও আতঙ্কগ্রস্ত।
সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক সরদার রিয়াদ বলেন, “কে এম মামুন একজন সংগ্রামী কর্মী। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এ নিখোঁজের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত অপহরণ।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বলেন, “জিডি করার পরও মামুনের অবস্থান শনাক্ত করতে না পারা হতাশাজনক। পুলিশকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা মামুনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামুনের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন ছাত্র ও মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা মনে করছে, যদি এটি অপহরণ হয় তবে তা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। পরিবার ও সহযোদ্ধারা দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা জিডি গ্রহণ করেছি। তদন্ত চলছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই কূলকিনারা পাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, কে এম মামুন দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক হিসেবে যুক্ত আছেন। সাহসী ভূমিকা ও বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই সংগঠনটির ভেতরে ও বাইরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
বিআলো/তুরাগ