জামায়াত ৩০টি আসন চেয়েছে, ভারতের গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল
বিআলো ডেস্ক: বিএনপির দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বর্তমানে দলটির টানাপোড়েন চলছে। নির্বাচন সামনে রেখে নানা ইস্যুতে তাদের মধ্যে এ দূরত্ব। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলছে, নির্বাচন হতে হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পদ্ধতিতে)।
সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে বসে ভারতের কলকাতার বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশিত হয়।
জামায়াত কি ৫০টা আসন চেয়েছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের কাছে ৩০টা আসন চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপুত হয়নি। আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেবো না।
অন্য প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াত যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের প্রবল ভাবেই মানুষ নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে এমনটি জোর দিয়ে বলেন মির্জা ফখরুল। ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। কোনও অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছেন, নির্বাচন চাইছেন। উৎসবের মতো ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।’
প্রশ্ন: জামায়াত যে বলছে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি ছাড়া ভোট হবে না, এনসিপি প্রচলিত সংবিধান বাতিল করে আগে গণপরিষদের নির্বাচন চাইছে। না হলে ভোট হতে দেবে না বলছে ?
মির্জা ফখরুল: জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর–টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে বাংলাদেশের ভোট। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। এটা ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের (এনসিপি) কিছু নেই।
শোনা যায়, এনসিপি নাকি আপনাদের কাছে আসন চেয়েছিল? এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, না। এনসিপি কখনো চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে নাদেওয়া।
বিআলো/শিলি